দেশের সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নতুন করে সাড়ে তিন হাজার বাসস্থান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে, মুজিববর্ষেই গৃহহীন পরিবারগুলোকে জমির মালিকানাসহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে দ্বী কক্ষের স্থায়ী নিবাস।
এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নির্মাণ করা আবাসন প্রকল্পের ঘর বুঝে পেয়েছেন হাজারো মানুষ। সুবিধাভোগী ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর সদস্যরা খুশি- তাদের আবাসন সংকট সমাধানে সরকারের এমন উদ্যোগে।
ভর সন্ধ্যায় পূজো দিতে বসেছেন সিরাজগঞ্জের প্রতাপবাজারের বাসিন্দা রবিদাস। ঘরে পাঁচ মেয়েকে নিয়ে জুতো সেলাইয়ের কাজ করে কোনরকমে চলে সংসার।
অভাবের সংসার চালিয়ে কোনদিন ঘর পাকা করতে পারবেন, স্বপ্নেও ভাবেন নি। কিন্তু তাই আজ সত্য। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে দুটি পাকা ঘর পেয়েছেন তিনি।
রংপুরের তারাগঞ্জের তরনী দাসের গল্পটাও একই রকম। বাঁশের বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে প্রতিদিনের আয় ৩০০ টাকার বেশি নয়। তারমত হতদরিদ্র প্রায় ৩০টি নৃ গোষ্ঠীর পরিবার পেয়েছে মাথা গোজার ঠাঁই।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দুই শতাংশ জমির উপরে দুটি করে ঘর পেয়েছে ৩০ সাওতাল পরিবার। ঠিকানা পাওয়ায় সমতলে বাস করা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষগুলোর মুখে আনন্দ সীমাহীন।
পাহাড় কিংবা সমতলে বাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সরকারের গৃহীত নতুন পদক্ষেপের কথা জানালেন প্রকল্প পরিচালক।
দেশের সমতলে বাস করেন ৫০টিরও বেশি বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ।